ফোর্ড মোটর কম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ফোর্ড মৃত্যুর পর স্বর্গবাসী হলেন।
স্বর্গের দ্বারে তাঁর সন্ত পিটার তাকে বললেন, “সুস্বাগতম বৎস। তুমি সত্যই বড় ভালো লোক ছিলে এবং তোমার আবিষ্কার মর্ত্যলোকের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে তো আমূল বদলে দিয়েছিল। পৃথিবীর মানুষের জন্য তোমার অবদানের পুরস্কারস্বরুপ তোমাকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হলো, তুমি স্বর্গে যার সাথে ইচ্ছে তার সাথেই সময় কাটাতে পারবে।”
বিচক্ষণ ফোর্ড সাহেব কিছু ভেবে বললেন, “ঠিকাছে, আমি আদিপিতা আদমের সাথে একটু দেখা করতে চাই।”বলামাত্রই সন্ত পিটারের নির্দেশে স্বর্গদূত গিবরিল তাঁকে নিয়ে গেলেন আদমের কাছে।তিনি সেখানে গিয়ে বললেন, হে পিতা” যথেষ্ট বিনয়ের সাথে বললেন ফোর্ড সাহেব, “ব্যক্তিগত জীবনে আমি খুবই খুতখুতে স্বভাবের লোক ছিলাম, বিশেষত ডিজাইনিঙের ব্যাপারে। নিখুত সব নকশা করে অমন দস্তিদার গাড়িগুলো কি আর এমনিতেই বানিয়েছি।” খানিক থুতনি চুলকে তিনি বললেন, “আম্লেন,ইঙ্গিনিয়ারিং জ্ঞান বলে, আপনার ডিজাইনে বেশরকমের কিছু ত্রুটি ছিল।”
আদম ভ্রু কুঁচকে বললেন, “কী ধরনের?”
ফোর্ড বলতে লাগলেন,
“প্রথমত, সামনের দিকে অনাবশ্যকভাবে উচু!
দ্বিতীয়ত, চলার সময় পেছনের দিকে বেশরকমের ঝাঁকুনি হয়!!
তৃতীয়ত, যখন ‘দৌড়ের ওপর’ থাকে- অপ্রয়োজনীয় উৎকট শব্দ করে!!!
চতুর্থত, ইনপুট এবং আউটপুট পোর্টের অবস্থান সঙ্গতিপূর্ণ নয়!!!!”
এমন গুরুতর কিছু ত্রুটির কথা শুনে আদম ভাবিত হলেন বেশ। কয়েকমুহুর্ত ভেবে তিনি ফোর্ডকে বললেন, “আমার সাথে এদিকে একটু এসো।” বলেই তিনি ফোর্ডকে নিয়ে গেলেন বিশেষ একটা জায়গায়, যেখানে রয়েছে স্বয়ং ঈশ্বরের ব্যবহার্য মহাজাগতিক কম্পিউটার।আদম মহাজাগতিক কম্পিউটারে কি কি সব উপাত্ত যেন খোজ করে দেখলেন। তারপর মুচকি হেসে ফোর্ডকে বললেন, “খুব তো এঞ্জেনিয়ারিং বিদ্যার বাহাদুরি দেখালে। বললে, আমার আবিষ্কারে নাকি একগাদা ত্রুটি। এবার দেখ, মহাজাগতিক যন্ত্রগণক কি বলছে…”
ফোর্ড অবাক হয়ে আদমের দিকে তাকালেন। “কি?”
-”হতে পারে আমারটায় একগাদা ত্রুটি আছে, কিন্তু মহাজাগতিক যন্ত্রগণক বলছে, তোমার আবিষ্কারের উপর যত লোক চড়েছে, তার চেয়ে ঢের বেশি চড়েছে আমার আবিষ্কারের উপর!!!”
No comments:
Post a Comment